,

রাখে আল্লাহ মারে কে!

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার ৫ তলা ভবনে সালমান আহমেদ (১০) নামের এক শিশু তালাবদ্ধ ফ্যাটে মোবাইল ফোনে গেমস খেলছিলো। এ সময় তার ক্ষুধা পেলে সে রান্নাঘরে গিয়ে পাতিলে চাল বসিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন দেয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়ে শিশুটি। দীর্ঘক্ষণ পর পাতিলটি পুড়ে ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকল বাহিনীর দুইটি গাড়ি ও পুলিশ। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় শিশু সালমান। গতকাল রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে যেতে পারতো বলে জানিয়েছেন দমকলবাহিনীর সদস্যরা। আশপাশের বাসিন্দারা জানান, বাণিজ্যিক এলাকার মোতালিব প্লাজার ৩য় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন সাগর মিয়া, তার মা ও ছোট ভাই সালমান। সকালে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে পড়েন সাগর। কিছুক্ষণ পর শিশু সালমানকে ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ রেখে বাইরে যান তার মাও।
একাকী ফ্ল্যাটে মোবাইলে গেমস খেলছিল শিশু সালমান। হঠাৎ তার অনেক ক্ষুধা পেলে সে রান্না ঘরে গিয়ে পাতিলে চাল বসিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন দেয়। এরপর ঘুমিয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পাতিলটি আগুনে পুড়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ভবনজুড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দমকল বাহিনীর দু’টি গাড়ি ছুটে আসে। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও। এরই মধ্যে দরজার তালা ভেঙে শিশুটিকে বের করেন আনেন স্থানীয়রা। ভবনের কেয়ার টেকার সুরুজ মিয়া জানান, পাঁচ তলা ভবনের নীচ তলায় মার্কেট। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। ধোঁয়া দেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, থানা থেকে খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। যদিও পাশের লোকজন তালা ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। অল্পের জন্য শিশুটি প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। তবে আর কিছুক্ষণ এভাবে তালাবদ্ধ থাকলে পুরো ভবন আগুনে পুড়ে যেতে পারতো। শিশুদের বাসায় রেখে যাওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। শিশু সালমানের বড় ভাই সাগর মিয়া বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর এ ঘটনা দেখে সালমান ভয় পেয়ে গেছে। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর